সাম্প্রতিক

6/recent/ticker-posts

দুধ ও মাংসের উৎপাদন বাড়াতে লিভার টনিক

liver tonic for animal
পশুকে সুস্থ রাখতে দরকার লিভার টনিক
লিভারে গড়বড় মানে খামারের সর্বনাশ! কারণ কলিজায় সমস্যা হলে খাবার ঠিকমতো হজম হবে না। ফলে যতোই পুষ্টিকর খাবার দেন কোনো কাজে আসবে না। গরু, ছাগলের এই অতি গুরুত্বপূর্ণ প্রত্যঙ্গটি সুস্থ ও কার্যক্ষম রাখতেই ব্যবহার করা হয় লিভার টনিক। এই ওষুধটি ট্যাবলেট বা সিরাপ আকারে পাওয়া যায়। কৃমিনাশক দেওয়ার  পর লিভার টনিক দেওয়া উচিৎ। কারণ তিতা স্বাদযুক্ত কৃমির ওষুধ খাওয়ার পর পশুরা খাবার খেতে চায় না। কয়েকদিন এই অরুচি থাকতে পারে। তখন দরকার লিভার টনিক। 

লিভার টনিক দিলে কলিজা সুরক্ষিত থাকে। কলিজা কৃমি ক্ষতি করলে তা দ্রুত সেরে ওঠে। এটি লিভার থেকে  হজম  রস নিঃসরণের হার বেড়ে যায়। ফলে খাবার হজমের পর যে পুষ্টি পাওয়া যায় তা শরীরের শোষণের হার বেড়ে যায়। ফলে খাবারের অপচয় কমে। তবে মনে রাখবেন, গর্ভবতী পশুকে এ ধরনের ওষুধ দেওয়া যাবে না।

লিভার টনিকের কিছু উপকারিতা

* অ্যান্টি অক্সিডেন্ট
খাদ্য পরিপাকের পর বাইপ্রোডাক্ট (উপজাত) হিসেবে কিছু উপাদান তৈরি হয় যেগুলো পশুর শরীরে বীষের মতো কাজ করে।  এগুলো কোষ ধ্বংস করে। ফলে পশু পুষ্টিহীনতায় ভোগে।  এ কারণে পশুর খাবারের মধ্যে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ উপাদান থাকা জরুরি। যা অক্সিডেন্টের ক্ষতি থেকে বাঁচাবে। বিভিন্ন খাবারের মধ্যে এই উপাদান থাকে।

*হেপাটোপ্রটেকটিভ 
লিভার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া থেকে রক্ষাকারী ওষুধ

*রক্তে লিপিড (মূলত চর্বি) হ্রাস

*লিভারের ক্ষয়রোধ (Liver cell regeneration)

*লিভার কোষ উৎপাদন বৃদ্ধি (Cell synthesis)

*দুধ উৎপাদন বৃদ্ধি

*বিষক্রিয়া থেকে লিভারকে রক্ষা

*বিভিন্ন ধরনের পুষ্টির অভাব পূরণে সহায়তা

*পশুর বৃদ্ধি, উৎপাদনশীলতা (মোটাতাজা) এবং খাবারের কার্যকারিতা (পুষ্টিগ্রহণ ক্ষমতা) বৃদ্ধি

*প্রতিকূল পরিবেশে টিকে থাকার ক্ষমতা বৃদ্ধি, নানা রোগের বিরুদ্ধে শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি

*রুচি বৃদ্ধির ফলে হজম শক্তি বৃদ্ধি (FCR), শরীরের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করা, দুধের উৎপাদন বৃদ্ধি এবং লিভারকে যে কোনো সমস্যা থেকে নিরাপদ রাখা

*নিয়মিত ব্যবহারে লিভারের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি, খাদ্য হজমে সহায়ক এবং পুষ্টি শোষণ হার বৃদ্ধি এবং একই সাথে দ্রুত ওজন বৃদ্ধি

বাজারে অনেক ধরনের লিভার টনিক পাওয়া যায়, যেমন :- Hepamin forte, Hepato vet, Livatone, Renaliv, Liva vit ইত্যাদি।

ব্যবহার বিধি
গরু, মহিষ : ৫০ মিলি, দিনে দুবার
ভেড়া, গাড়ল, ছাগল : ১০-১৫ মিলি, দিনে দুবার
পোল্ট্রি যেমন : হাঁস, মুরগী, টার্কি, কোয়েল, কবুতর  (প্রতি ১০০টির জন্য) : ১০ মিলি, দিনে একবার

সতর্কতা
এই টনিক ৫ দিনের বেশি খাওয়ানো যাবে না। প্রথম কৃমিনাশক  খাওয়ানোর পরবর্তী  দিন থেকে নির্দেশনা মোতাবেক ৫ দিন খাওয়াবেন। তারপর বন্ধ। আবার, পরবর্তীতে ১০ দিন পর যদি দ্বিতীয় ডোজ কৃমিনাশক খাওয়ান সেক্ষেত্রে তারপরের দিন থেকে আবারো ৫ দিন খাওয়াবেন। এই মিলে মোট দুই বার। তবে যদি পাতলা পায়খানা হয় অবশ্যই টনিক খাওয়ানো বন্ধ রাখতে হবে।

আরো পড়ুন:
>> ঘরেই তৈরি করুন গবাদিপশুর কৃমিনাশক ও লিভার টনিক

Post a Comment

2 Comments

  1. গাভী কে গর্ভ অস্থায় লিভারটনিক খাওয়ানো যায় কি।

    ReplyDelete
    Replies
    1. গর্ভবতী পশুকে এ ধরনের কোনো ওষুধই দেওয়া যাবে না।

      Delete