দড়ি দিয়ে গরু শোয়ানো |
দড়ির সাহায্যে বেঁধে শোয়ানোর বেশ ক’টি পদ্ধতি রয়েছে। একটি পদ্ধতিতে একটি শক্ত লম্বা রশির এক প্রান্ত পশুর শিংয়ের গোড়ায় বেঁধে তিনবার গেরো দিয়ে শরীরে বেষ্টনী পড়ানো হয় এবং রশির অপর প্রান্ত পেছন থেকে দৃঢ়ভাবে টেনে ধরলে পশু আপনা আপনি পেছনের দিকে নুয়ে পড়ে। রশির গেরো গরু-মহিষকে মেরুদণ্ড বরাবর দিতে হয়। তবে এতে পশুর কিছু ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। সে কারণে যত্নসহকারে এটি করতে হয়।
এ পদ্ধতিতে দুজন মানুষই একটি বড় গরুকে শোয়ানো সম্ভব |
এটিতে দুজন মানুষই যথেষ্ট। এটি খুব সহজ ও নিরাপদ পদ্ধতি |
এছাড়াও কম ওজনের পশুকে পেছনের দু’পায়ে বেঁধে হ্যাঁচকা টানে মাটিতে ফেলা যায়।
এ পদ্ধতিতেও গরুকে শোয়াতে পারেন |
খেয়াল রাখতে যে স্থানে পশুকে ফেলা হবে তা যেন নরম হয়।
গাভী অন্তঃস্বত্তা হলে তাকে প্রথম পদ্ধতিতে শোয়ানো যায়। তবে, এই অবস্থায় গাভীকে সব সময় বাম দিকে শুইয়ে দিতে হয়।
পশুকে শোয়ানোর পর: ১. পেছনের পা বাঁধা, ২. সামনের পা বাঁধা ৩. নাকের রিংয়ের মাধ্যমে পশুকে নিয়ন্ত্রণ ৪. পেছনের পায়ের খুর কাটা বা চিকিৎসার জন্য সহজে ঝুলানোর কৌশল |
গোশালায় সার্বক্ষণিক বেঁধে রেখে গরু-মহিষ লালনপালন করার যে কৌশল অবলম্বন করা হয় তাতে এদেরকে উপরোক্ত কোনো পদ্ধতিতেই আটকানো হয় না। যে জায়গায় গরু বা মহিষটির অবস্থান সেখানেই আড়পাতা পন্থায় তাকে সব সময় থাকতে হয়। অসুস্থ হলে বা অন্য কোনো প্রয়োজনে যে শিকল পশুর গলায় সব সময় লাগানো থাকে তার একাংশ টেনে নিয়ে পশুর নাকে লাগানো আংটার (nose ring) সঙ্গে একটি প্যাঁচ দিয়ে উপরে টেনে শিংয়ের সঙ্গে আরেকটি প্যাঁচ দিয়ে আটকে দিলেই পশু আর তেমন নড়াচড়া করতে পারে না। এই পদ্ধতি ইউরোপের বড় খামারগুলোতে চালু আছে। এই কৌশল কিছুটা নিষ্ঠুরতা বলে মনে হলেও এভাবেই ওসব দেশে পশু আটকানো হয়। চিকিৎসক ও সেবা প্রদানকারী ব্যক্তি একজন সাহায্যকারীর সাহায্যে একাজ করে থাকেন।
আরো পড়ুন: ফিতা দিয়ে পশুর ওজন পরিমাপ করার কৌশল
0 Comments