হাইড্রোপনিক পদ্ধতিতে ফসল চাষের সম্পূর্ণ গাইড, তিনটি পর্বে প্রকাশিত। এখানে হাইড্রোপনিক পদ্ধতি কী, কেন, কীভাবে সিস্টেম তৈরি করতে হয়, ইসি, পিএইচ নিয়ন্ত্রণসহ বিস্তারিত তথ্য রয়েছে।
দ্বিতীয় পর্ব: হাইড্রোপনিক পদ্ধতিতে কোন ফসল চাষ করা যায়। নিউট্রিয়েন্ট সলিউশন তৈরি। ইসি (EC) ও পিএইচ (pH) কী এবং কীভাবে মাত্রা নির্ধারণ ও নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
কর্ষণ ডটকম:
হাইড্রোপনিক পদ্ধতিতে যেসব ফসল চাষ করা যায়
পাতা ও ফুল জাতীয় ফসল হাইড্রোপনিক পদ্ধতির জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত। পাতা জাতীয় ফসলের মধ্যে লেটুস ,
গীমাকলমি, বিলাতি ধনিয়া, বাঁধাকপি, পুদিনা, পালংশাক, ইত্যাদি চাষ করা যেতে পারে।
আর ফুলের মধ্যে গাঁদা, অ্যানথুরিয়াম, গোলাপ, অর্কিড, চন্দ্রধমল্লিকা, জারবেরা ইত্যাদি।
তবে হাইড্রোপনিক পদ্ধতিতে ফল জাতীয় সবজিও চাষ করা যায়। যেমন উন্নত দেশে এ পদ্ধতিতে বিপুল পরিমাণ টমেটো উৎপাদন করা হয়। এসব টমেটোর অত্যন্ত ভালো। অত্যন্ত নিয়ন্ত্রিত পরিবেশ ও পুষ্টিতে বড় হয় বলে এসব টমেটোর রঙ এবং আকার প্রায় সবগুলোর সমান হয়। এতে খামারিও লাভবান হন। অন্যান্য ফল ফসলের মধ্যে বেগুন, ক্যাপসিকাম, করলা, ফুলকপি, শসা, ক্ষিরা, মেলন (বিভিন্ন জাতের তরমুজ), লাউ, ব্রকোলি, কাঁচা মরিচ, স্ট্রবেরি, লেবু, পেয়ারা, আঙ্গুর চাষ করা সম্ভব।
হাইড্রোপনিক পদ্ধতির জন্য চারা উৎপাদন
হাইড্রোপনিক পদ্ধতিতে যেহেতু মাটি ব্যবহার করা হয় না এ কারণে এক্ষেত্রে চারা তৈরির প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দিতে হয়। রোগাক্রান্ত চারা সিস্টেমের মধ্যে নিলে পুরো খামারই দ্রুত সেই রোগে আক্রান্ত হতে পারে। আবার চারা যদি হয় দুর্বল তাহলে সেটি হাইড্রোপনিক ব্যবস্থার সঙ্গে ঠিকঠাক মানিয়ে নিতে পারবে না। ফলে ফলন কম হবে।
হাইড্রোপনিক পদ্ধতির জন্য চারা উৎপাদন পদ্ধতি
হাইড্রোপনিক পদ্ধতিতে চাষাবাদের চারা উৎপাদনের বিভিন্ন পদ্ধতি আছে। নিচে সেগুলো বর্ণনা করা হলো:
স্পঞ্জ ব্লকে চারা তৈরি
বাজারে কিনতে পাওয়া যায় এমন সস্তা স্পঞ্জ দিয়েই এই ব্যবস্থাটা করা যায়। আপনি পুরনো ম্যাট্রেস, চেয়ার বা সোফার গদি দিয়েও এটি তৈরি করে নিতে পারেন। প্রথমে স্পঞ্জ ২.৫x২.৫ সেন্টিমিটার আকারের ব্লক করে কেটে নিতে হবে। এই ব্লকের মাঝখানে ছোট্ট একটা গর্ত করে একটি করে বীজ দিতে হবে। ব্লকগুলো একটি প্লাস্টিক, টিন বা মাটির ট্রেতে সাজিয়ে ছায়াযুক্ত স্থানে রাখতে হবে। স্পঞ্জে দিনে দুতিনবার পানি স্প্রে করতে হবে। বেশি শুকিয়ে গেলে চারা অঙ্গুরোদগমের হার কম হবে।
চারা গজানোর পর যখন ২-৩টি পাতা হলে ট্রেতে একদিন পর পর ২০-৩০ মিলিলিটার করে তরল খাদ্য উপাদান দিতে হবে। চারার বয়স ২০-২৫ দিন হলে মূল্য সিস্টেমে স্থানান্তর করতে হবে। এর মধ্যে স্পঞ্জ যেন কখনোই শুকিয়ে না যায় খেয়াল রাখতে হবে।
মাটির পাত্রে নারিকেলের ছোবড়ার গুঁড়ায় চারা তৈরি
এই পদ্ধতিটিও স্পঞ্জ পদ্ধতির মতোই। তবে বিশেষ সতর্কতার দরকার। আছে। একটি মাটির সানকি বা প্রয়োজনমতো সানকি নিন। সানকিগুলো এবং নারিকেলের ছোবড়ার গুঁড়া ভালো করে ধুয়ে এক দিন রোদে শুকিয়ে নিতে হবে। তাতে এগুলো জীবাণুমক্ত হবে বলে আশা করা যায়। আরো বেশি সতর্কতা স্বরূপ নারিকেলের ছোবড়ার গুঁড়াগুলো পানিতে সিদ্ধ করে শুকিয়ে নিতে পারেন।
এবার নারিকেলের ছোবড়ার গুঁড়াগুলো সানকিতে কানায় কানায় ভরে নিন। লাইন চেনে বীজ বুনতে হবে তাতে এক বীজ থেকে আরেক বীজের দূরত্ব সমান থাকবে।
লাউয়ের বীজ বোনার সময় সুঁচাল সরু অংশটি নিচের দিকে রেখে পুঁতে দিন। অন্যান্য ফসলের বীজ আনুভূমিক বা শোয়ানো অবস্থায় রেখে বীজের আকারের দ্বিগুণ গভীরে পুঁতে দিতে হবে। বীজ বপনের পর দৈনিক পানি দিতে হবে। শীতকালে দ্রুত পানি শুকিয়ে যাবে। তখন প্রয়োজনে দিনে একাধিকবার পানি দিতে হতে পারে। বীজ বোনার পর সানকি অবশ্যই ছায়াযুক্ত স্থানে রাখবেন।
প্লাস্টিকের কাপে চারা তৈরি
প্লাস্টিকের ওয়ানটাইম কাপে নারিকেলের ছোবড়ার গুঁড়া দিয়েও চারা উৎপাদন করা যায়। এরজন্য ওয়ানটাইম কাপটির তলায় ৪-৫টি ছোট ছিদ্র করে নিন। অতিরিক্ত পানি যাতে বেরিয়ে সে জন্যই এ ব্যবস্থা। এবার কাপে ধুয়ে রোদে শুকানোর নারিকেলের ছোবড়ার গুঁড়া নিন। একেবারে কানায় কানায় ভরবেন না, একটু খালি রাখবেন। মাঝখানে বীজ বপন করে পানি দিয়ে ভিজিয়ে দিন। এরপর উপরে সুতি কাপড় বা খবরে কাগজ দিয়ে ঢেকে দিন। বীজ থেকে চারা গজালে কাগজ বা কাপড় সরিয়ে ফেলতে হবে। দৈনিক অল্প করে পানি দিতে ভুলবেন না।
হাইড্রোপনিক পদ্ধতিতে আবাদের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ফসলের চারা ইসি ও পিএইচ নিচের টেবিলে দেওয়া হলো। ইসি (EC) ও পিএইচের (PH) ব্যাপারে পরে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
সূত্র: বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) |
হাইড্রোপনিক পদ্ধতির নিউট্রিয়েন্ট বা রাসায়নিক দ্রবণ তৈরি
হাইড্রোপনিক পদ্ধতির জন্য প্রয়োজনীয় রাসায়নিক দ্রবণ বা নিউট্রিয়েন্ট এখন বাজারে পাওয়া যায়। এমনকি ইসি ও পিএইচ নিয়ন্ত্রণের জন্য বাফার সল্যুশনও পাওয়া যায়। তবে চাইলে আপনি এটি নিজেও বানিয়ে নিতে পারেন। সল্যুশন নিজে বানিয়ে নেয়ার প্রক্রিয়া নিচে বর্ণনা করা হলো:
প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম
সাধারণ ব্যালেন্স (ছোট দাঁড়িপাল্লা), ইলেকট্রনিক ব্যালেন্স (ওয়ে মেশিন), আলাদা আলাদা পরিমাপের পাত্র, চামচ (চা চামচ ও টেবিল চামচ), ফানেল (কুপিতে তেল ঢালার প্লাস্টিক ফানেল হলেও চলবে), দাগ টেনে স্কেল করা ১০-১২ লিটার ধারণক্ষমতার প্লাস্টিকের জার, মার্কার পেন, মেজারিং ফ্লাক্স (১০০০ মিলিলিটার), টিস্যু পেপার।
প্রয়োজনীয় রাসায়নিক (১০ লিটার স্টক সলিউশন ‘এ’ এবং ‘বি’ তৈরির জন্য)
সূত্র: বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) |
হাইড্রোপনিক স্টক সলিউসন ‘এ’ তৈরির পদ্ধতি
এই Stock solution তৈরি করার সময় ১০০০ গ্রাম ক্যালসিয়াম নাইট্রেট এবং ৮০ গ্রাম EDTA-Fe কে মেপে নিয়ে ১০ লিটার পানিতে ভালো করে গুলে দিতে হবে। প্রথমে পানিতে ক্যালসিয়াম নাইট্রেট মিশিয়ে, পরে EDTA-Fe যোগ করতে হবে। খালি হাতে গুলবেন না বরং কোনো দণ্ড দিয়ে নড়ুন। তবে দণ্ডটি যেন ধাতব না হয়। বাঁশ, কাঠ বা প্লাস্টিকের দণ্ড হতে হবে।
হাইড্রোপনিক স্টক সলিউশন ‘বি’ তৈরির পদ্ধতি
পটাশিয়াম হাইড্রোজেন ফসফেট ২৭০ গ্রাম, পটাসিয়াম নাইট্রেট ৫৮০ গ্রাম, ম্যাগানেসিয়াম সালফেট ৫১০ গ্রাম, ম্যাঙ্গানিজ সালফেট ৬.১০ গ্রাম, বরিক এসিড ১.৮০ গ্রাম, কপার সালফেট ০.৪০ গ্রাম, অ্যামোনিয়াম মলিবডেট ০.৩৮ গ্রাম, জিংক সালফেট ০.৪৪ গ্রাম আলাদাভাবে পরিমাপ করে ১০ লিটার পানির মধ্যে দিয়ে ভালোভাবে গুলে নিতে হবে। ব্যস, তৈরি হয়ে গেল ১০ লিটার ‘বি’ সলিউশন।
নিউট্রিয়েন্ট সলিউশন বা রাসায়নিক দ্রবণ তৈরি
উপরে আমরা স্টক সলিউশন কীভাবে বানাতে হয় তা শিখলাম। এবার হাইড্রোপনিক সিস্টেমে প্রয়োগ করবো যেই সলিউশন সেটি বানানো প্রক্রিয়া শিখবো।
১০০০ লিটার নিউট্রিয়েন্ট সলিউশন বানানো জন্য ১০০০ লিটার পানি ধারণক্ষমতার একটি ট্যাংক নিতে হবে। এবার স্টক সলিউশন ‘এ’ এর ১০ লিটার দ্রবণ ট্যাংকের পানিতে ঢেলে অধাতব দণ্ড দিয়ে ভালোভাবে মিশাতে হবে। এরপর আগেই বানিয়ে রাখা ১০ লিটার স্টক সলিউশন ‘বি’ ট্যাংকে নিতে হবে এবং আগের মতো অধাতব দণ্ড দিয়ে ভালো নেড়ে মিশিয়ে নিতে হবে।
ইসি ও পিএইচ নিয়ে কিছু কথা
ইলেকট্রিক্যাল কনডাক্টিভিটি বা তড়িৎ পরিবাহিতা সংক্ষেপে ইসি (EC) হলো কোনো দ্রবণের বিদ্যুৎ পরিবহনের সমক্ষতার পরিমাপ। সোজা কথায় বললে দ্রবণের কী পরিমান লবণ (খনিজ বা মিনারেল) মিশ্রিত আছে সেই মাত্রাকে ইসি বলা হয়। পানিতে লবণের মাত্রা যতো বেশি হবে সেই পানির তড়িৎ পরবাহিতা ততো বেশি। তার মানে ইসি যতো বেশি হবে বুঝতে হবে সেই পানিতে ততো বেশি পরিমানে বিভিন্ন লবণ মিশ্রিত আছে।
আরেকভাবে বললে, ইসি হলো একটি নিউট্রিয়েন্ট সলিউশনের সব খাদ্য উপাদানের মোট ঘনত্ব। অনেকে এটিকে টিডিএসও বলেন। টিডিএস মানে হলো টোটাল ডিজলভড সলিডস (TDS)। এই পরিভাষাটি বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। বায়োফ্লক পদ্ধতিতে টিডিএসের ভারসাম্য রক্ষা করা অত্যন্ত জরুরি। একইভাবে হাইড্রোপনিক পদ্ধতিতে ফসল আবাদের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূ্র্ণ বিষয় হলো ইসির ভারসাম্য রক্ষা।
টিডিএস এবং ইসির মধ্যে একটি গাণিতিক সম্পর্ক হিসাব করা যেতে পারে। যেমন:
TDS (ppm) = 0.64 X EC (μS/cm) = 640 X EC (dS/m)
এই সমীকারণে হিসাব করলে নির্ভুল ফল পাওয়া যাবে এটা বলা যায় না তবে কাছাকাছি একটি হিসাব পেতে পারেন।
ইসি পরিমাপ করা হয় সাধারণ ডেসিসিমেনস/মিটার (dS/m) অথবা সমতুল মিলিসিমেনস/সেমি (mS/cm) অথবা মাইক্রো সিমেনস/সেমি (μS/cm) এককে।
হাইড্রোপনিক সিস্টেমের জন্য ইসির আদর্ম মান ১.২ থেকে ২.০। এটি দিয়ে সিস্টেমের পানিতে কতোখানি খাদ্য উপাদান বা নিউট্রিয়েন্ট আছে সেটি বুঝা যায়। এটি পরিমাপের জন্য বাজারে ডিজিটাল ইসি মিটার পাওয়া যায়। আবার কিছু মিটারে ইসি ও পিএইচ দুটোই পরিমান করা যায়।
মনে রাখতে হবে, ইসি হাইড্রোপনিক দ্রবণের ঘনত্ব প্রকাশ করে, পুষ্টি উপাদান বা খনিজ লবণগুলোর প্রত্যেকটি আলাদাভাবে পরিমাপের সুযোগ এ পদ্ধতিতে নেই। এ কারণে একটি যথার্থ হাইড্রোপনিক সিস্টেমের জন্য শুধু ইসি পরিমাপ করাই যথেষ্ট নয়।
তাছাড়া দ্রবণের কাঙ্ক্ষিত (উপযুক্ত) ইসি মান ফসলের ধরন, বয়স বা বৃদ্ধির ধাপ এবং আবহাওয়ার ওপর অনেকখানি নির্ভর করে। ইসির মান বাড়ানোর জন্য পানিতে নিউট্রিয়েন্ট সলিউশন বা দ্রবণ যোগ করতে হবে।
এবার আসা যাক পিএইচের কথায়। নিউট্রিয়েন্ট সলিউশনের অম্লতা (অ্যাসিডিটি- Acidity) ক্ষারত্ব (অ্যালকালিটি- Alkalinity) পরিমাপই হলো পিএইচ (pH)। বাজারে অনেক সস্তায় ডিজিটাল পিএইচ মিটার পাওয়া যায়।
হাইড্রোপনিক সিস্টেমের মধ্যে ফসল এবং অন্যান্য অনুজীব পরস্পরের প্রতি কেমন প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে সেটিও পিএইচ মাত্রা দেখে বুঝা যায়। প্রত্যেক ফসলের আলাদা পিএইচ সীমা রয়েছে। অবশ্য পাতা জাতীয় সবজির ক্ষেত্রে একাধিক জাতের ফসলের উপযুক্ত পিএইচ মাত্রা একই ধরনের হতে পারে।
হাইড্রোপনিক সিস্টেমের মধ্যে দ্রবণের পিএইচের মান ৫.৫ থেকে ৬.৫ এর মধ্যে রাখা উচিত। দৈনিক পিএইচের পরিবর্তন যেন ০.৫ এর বেশি না হয় সেটি খেয়াল রাখতে হবে। পিএইচের মান হঠাৎ করে বেশি পরিমাণে পরিবর্তন হলে গাছ সহ্য করতে পারবে না। নুয়ে পড়তে পারে বা মারাও যেতে পারে।
গাছের বৃদ্ধির সাথে কিন্তু উপযুক্ত পিএইচ মাত্রারও পরিবর্তন হয়। পাতা জাতীয় সবজির ক্ষেত্রে বৃদ্ধির সাথে সাথে পিএইচ ব্যাপকভাবে বেড়ে যায়। কারণ ওই সময় এরা প্রচুর পরিমানে NO3-N (নাইট্রেট বা নাইট্রোজেন) গ্রহণ করে।
এসব সবজি ফসলের খাদ্য উপাদানের অভাব দেখা দেয় যখন সলিউশনের পিএইচের মান ৫.৫ এর নিচে বা ৭.৫ এর বেশি হয়। এটি হওয়ার কারণে হলো, পিএইচ কিছু খাদ্য উপাদানের সহজলভ্যতাকে কমিয়ে বাড়িয়ে দেয়।
পিএইচ এর মাত্রা উপযুক্ত পরিমানের চেয়ে বেশি হলে হাইক্লোরিক অ্যাসিড বা ফসফরিক অ্যাসিড বা নাইট্রিক অ্যাসিড যোগ করে মান কমাতে হবে। আর দ্রবণের পিএইচের মান কম হলে সোডিয়াম হাইড্রোক্সাইড বা পটাশিয়াম হাইড্রোক্সাইড যোগ করতে হবে। বাজারে অবশ্য পিএইচ বাফার পাওয়া যায়। সেগুলোও ব্যবহার করা যেতে পারে।
#ব্যতিক্রম#
ইসির মাত্রা বেগে গেলে পরিষ্কার পানি যোগ করাই যথেষ্ট। তবে অনেকের ক্ষেত্রে পানি যোগ করার পরও ইসির মাত্রা না কমার কথা শোনা যায়। তাদের ক্ষেত্রে যেটি ঘটে থাকতে পারে সেটি হলো, ট্যাংকের তলানিতে লবণ জমে যাওয়া। পানি যোগ করলে সেই লবণ গলে গিয়ে ইসি বাড়িয়ে দেয়। এক্ষেত্রে একটি সহজ সমাধান হলো পুরো ট্যাংকি খালি করার পর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলা। সম্ভব পুরো সিস্টেমই পানি দিয়ে ফ্ল্যাশ করা। তাহলে জমে থাকা লবণ বেরিয়ে যাবে। এরপর আগের মতো করে প্রয়োজনীয় পরিমানে পানি ও নিউট্রিয়েন্ট সলিউশন দিন।
আরো পড়ুন:
0 Comments