হাইড্রোপনিক পদ্ধতিতে ফসল চাষের সম্পূর্ণ গাইড, তিনটি পর্বে প্রকাশিত। এখানে হাইড্রোপনিক পদ্ধতি কী, কেন, কীভাবে সিস্টেম তৈরি করতে হয়, ইসি, পিএইচ নিয়ন্ত্রণসহ বিস্তারিত তথ্য রয়েছে।
তৃতীয় ও শেষ পর্ব: হাইড্রোপনিক সিস্টেম বানানো ও পরিচালনার কৌশল।
কর্ষণ ডটকম: হাইড্রোপনিক পদ্ধতিতে চাষাবাদ সম্পর্কে প্রাথমিক জ্ঞান যদি থেকে থাকে তাহলে সাহস করে এবার মাঠে নেমে যেতে পারেন। তবে অভিজ্ঞতা নেওয়ার জন্য প্রথমে ছোট আকারে একটি প্রজেক্ট হাতে নেওয়া ভালো। তাতে অভিজ্ঞতাও হবে বড় ধরনের লোকসানের ভয়ও থাকবে না। এটি আপনি শহরে পাকা বাড়ির ছাড়ে, বারান্দা বা বাড়ির সামনে ছোট ফাঁকা জায়গাতেও করতে পারেন।
হাইড্রোপনিক পদ্ধতির জন্য স্থাপনা নির্মাণ
হাইড্রোপনিক পদ্ধতিতে চাষাবাদের স্থাপনা কীভাবে নির্মাণ করবেন সেটি জানার আগে আপনাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে কোন পদ্ধতি অবলম্বন করতে চান। সঞ্চালন পদ্ধতির জন্য এক ধরনের স্থাপনা আর সঞ্চালনবিহীন পদ্ধতির জন্য আরেক ধরনের স্থাপনা দরকার। তবে উভয়পদ্ধতির জন্য সাধারণ স্থাপনা হতে পারে গ্রিন হাউস, প্লাস্টিক হাউস, ভিনাইল হাউস বা পলি টানেল। অর্থাৎ পুরো সিস্টেমটাকে নিরাপদ রাখার জন্য এমন একটি ঘর দরকার যেটি আবদ্ধ কিন্তু পর্যাপ্ত আলো প্রবেশ করে।
গ্রিন হাউস বা গ্লাস হাউসে কিন্তু সারা বছর সব ধরনের ফসল আবাদ করা যায়। এতে ফসলের মান মাঠ ফসলের চেয়ে অনেক ভালো হয়। অবশ্য এই সিস্টেম তৈরিতে খরচ একটু বেশি পড়বে। এ জন্য আমরা হাইড্রোপনিক পদ্ধতিতে চাষাবাদের জন্য প্লাস্টিক হাউস অথবা ভিনাইল হাউস বা পলি টানেলকেই বেছে নিব। তবে যেটিই নিই না কেন তা হতে হবে যথেষ্ট স্বচ্ছ।
আপনার প্রজেক্টের আকার অনুযায়ী প্লাস্টিক বা পলিথিনের ঘর বানিয়ে নিন। যথেষ্ট সূর্যালোক পড়ে এমন জায়গা বেছে নিতে হবে। কাঠ, বাঁশ বা লোহার ফ্রেমে এমন ঘর বানিয়ে নিতে পারেন। সহজে হাঁটাচলা করা যাবে এমন করে দৈর্ঘ্য, প্রস্থ ও উচ্চতার ঘর বানাতে হবে।
তবে স্বচ্ছ প্লাস্টিকে ঘেরা ঘর ছাড়াও হাইড্রোপনিক সিস্টেম তৈরি করা যায় এবং ফসল উৎপাদন করা সম্ভব। এক্ষেত্রে অবশ্য আবহাওয়ার তারতম্যের কারণে ফসলের বৃদ্ধি ব্যাহত হতে পারে। আবার উন্মুক্ত থাকার কারণে পোকামাকড়ের আক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনাও বেশি।
আবার আবদ্ধ ঘরের সমস্যাও আছে। গ্রীষ্মকালে ঘর অতিরিক্ত গরম হয়ে উঠতে পারে। এ কারণে এ মৌসুমে একজস্ট ফ্যান ব্যবহার করা যেতে পারে।
মূল সিস্টেমের জন্য সাধারণ স্টিলের ট্রে, প্লাস্টিকের বালতি, অব্যবহৃত প্লাস্টিকের বোতল এসবই ব্যবহার করা যেতে পারে। বাজেট বেশি হলে এবং ভার্টিক্যাল গার্ডেন অর্থাৎ তাকের মতো করে সাজিয়ে উপরে নিচে কয়েক সারিতে ফসল আবাদ করতে চাইলে পিভিসি পাইপ ব্যবহার করা যেতে পারে। অবশ্য এটি আপনি স্টিলের ট্রে দিয়েও তাক করে সাজিয়ে করতে পারেন।
স্টিলের ট্রে ব্যবহারের ক্ষেত্রে কিছু সতর্কতা দরকার। মরিচা ধরা লোহার ট্রে কখনোই ব্যবহার করা যাবে না। আবার সরাসরি ট্রেও ব্যবহার করবেন না। ট্রেতে সাদা রঙ করুন। এতে গাছের খাদ্য উপাদান বা নিউট্রিয়েন্ট দ্রবণ সরাসরি ধাতব পদার্থের সংস্পর্শে যাবে না। দ্রবণটি অ্যাকটিভ কেমিক্যাল বা সক্রিয় রাসায়নিক হওয়ার কারণে সেটি ধাতব বস্তুর সংস্পর্শে এলে রাসায়নিক বিক্রিয়া করে পুরো সিস্টেমটিতে গণ্ডগোল পাকিয়ে দিতে পারে। তাতে রাতারাতি আপনার ফসল মরে যেতে পারে। এ কারণে স্টিলের ট্রে ব্যবহার করলে অবশ্যই গ্যালভানাইজিং করা স্টিল শিট দিয়ে তৈরি ট্রে সাদা রঙ করে ব্যবহার করুন।
এবার ট্রেগুলো কাঠের বা লোহার ফ্রেমের উপর বসাতে হবে। সাধারণ বেঞ্চের ফ্রেমের মতো করে ফ্রেম বানিয়ে নিলেই চলবে। ট্রেগুলোর মাপে ফ্রেম বানাতে হবে যাতে সেগুলো উপরে ঠিকঠাক থাকতে পারে। ফ্রেমে চাইলে কয়েকটি তাক বানিয়েও নিতে পারেন। এতে স্বল্প জায়গায় বেশি ফসল করা যাবে। তবে সেক্ষেত্রে ফসলের গাছের আকার অনুযায়ী ট্রে সাজাতে হবে। যেমন স্ট্রবেরি, লেটুস, ক্যাপসিকাম ইত্যাদি খাটো প্রজাতির গাছ রাখতে হবে নিচে ও মাঝের ট্রেতে আর শসা বা টমেটোর মতো লতানো বড় আকারের ফসল রাখতে হবে উপরের ট্রেতে। এটিই ভার্টিক্যাল গার্ডেন।
এভাবে স্টিলের ট্রে দিয়ে সঞ্চালন ও অসঞ্চালন দুই পদ্ধতিতেই ফসল আবাদ করা যায়।
স্টিলের ট্রেগুলো হওয়া উচিত ১৮-২৪ গেজ গ্যালভানাইজিং শিট দিয়ে তৈরি। আকার হবে দৈর্ঘ্য ৩ মিটার, প্রস্থ ৯০ সেন্টিমিটার এবং উচ্চতা ২০-২৫ সেন্টিমিটার।
সঞ্চালনবিহীন (Non-circulating) পদ্ধতির ক্ষেত্রে ট্রের মাঝে আড়াআড়িভাবে লোহার পাত ব্যবহার করতে হয়। এই পাতের উপরই কর্কশিট বিছানো হয়। ট্রের উপর থেকে ৫ সেন্টিমিটার বাদে লোহার পাত বিছাতে হবে যাতে কর্কশিট বিছালে তা ট্রের কানার সঙ্গে মিলে যায়। আর নিউট্রিয়েন্ট সলিউশন থাকবে কর্কশিটের ৫ সেন্টিমিটার নিচে। অর্থাৎ কর্কশিট আর রাসায়নিক দ্রবণের মধ্যবর্তী ৫ সেন্টিমিটার জায়গা ফাঁকা থাকবে। এটি কেন জরুরি তা পরে আলোচনা করা হবে। সঞ্চালন পদ্ধতিতে এভাবে লোহার পাতের উপর কর্কশিট বিছানোর দরকার নেই। বা মাঝখানে ফাঁকা রাখারও দরকার নেই।
কর্কশিট বিছানো ট্রেটিকে ফ্রেমের উপর এমনভাবে বসাতে হবে যেন তা সমান্তরাল থাকে। একটু এদিক ওদিক কাত হলে সব গাছ সমানভাবে পুষ্টি পাবে না।
এটিকে বলে এনএফটি সিস্টেম। এটি অবশ্যই হাইড্রোপনিক সার্কুলেটিং সিস্টেম বা সঞ্চালন পদ্ধতি |
সঞ্চালন পদ্ধতি (Circulating System)
এ পদ্ধতিতে একটি বড় ট্যাংক দরকার। ছোট প্রজেক্ট হলে এক হাজার লিটার ধারণক্ষমতার ট্যাংক বা ব্যারেল হলেই চলবে। সঙ্গে দরকার একটি মটরচালিত পাম্প। ছোট প্রজেক্টের জন্য বাজারে এক থেকে দেড় হাজারের মধ্যে মিনি পাম্প পাওয়া যায়। এর কমেও পেতে পারেন। আর দরকার পিভিসি পাইপ ও জোড়া দেয়ার জন্য টি-পাইপ।
সবকিছু রেডি থাকলে গ্যালভানাইজিং করা লোহার ট্রেটিতে সাদা রঙ করার পর রোদে ভালো করে শুকিয়ে নিন। এরপর সেটি একটি লোহার বা কাঠের ফ্রেমে বসিয়ে দিন। প্লাস্টিক পাইপের মাধ্যমে ট্রেটিকে রিজার্ভার ট্যাংকের সঙ্গে যুক্ত করে দিন। রিজার্ভার ট্যাংকেই থাকবে নিউট্রিয়েন্ট সলিউশন।
এবার চারা রোপণের জন্য কর্কশিটে নির্দিষ্ট দূরত্বে ছিদ্র করতে হবে। একেক ফসলের জন্য ছিদ্রের দূরত্ব একেক রকম হবে। যেমন লেটুস চাষ করলে দূরত্ব হবে ২০x২০ সেন্টিমিটার, টমেটো ৫০x ৪০ সেন্টিমিটার এবং স্ট্রবেরির জন্য ৩০x৩০ সেন্টিমিটার দূরত্বে ছিদ্র করতে হবে।
উপযুক্ত বয়সের চারা স্পঞ্জ ব্লকসহ (বা অন্যভাবে চারা তৈরি করলে জালি কাপ ব্যবহার করতে হবে) ওই ছিদ্রতে স্থাপন করতে হবে। স্পঞ্জ ব্লকগুলো কাপের মতো করে অর্থাৎ উপরের চেয়ে নিচের অংশ সরু- এভাবে কেটে নিলে কর্কশিটের ছিদ্রতে সহজেই সুন্দরভাবে আটকে যাবে। আর চারার উপযুক্ত বয়স কতো সেটি আগের পর্বেই উল্লেখ করা হয়েছে।
ট্রেতে চারা স্থাপন হয়ে গেলে রিজার্ভার ট্যাংক থেকে জলীয় দ্রবণ ভরতে হবে। সবচেয়ে ভালো হয় ট্যাংকটি উঁচু স্থানে রেখে সঙ্গে একটি ভালভ যোগ করলে প্রয়োজন মতো দ্রবণ যোগ করা যাবে কোনো পাম্পের সাহায্য ছাড়াই। প্রতি দিন কমপক্ষে ১০ ঘণ্টা ট্যাংক থেকে জলীয় দ্রবণ ট্রেতে সঞ্চালন করতে হবে। এতে অক্সিজেন সরবরাহ বৃদ্ধি পাবে। গাছের পরিপাক ক্রিয়ার জন্য অক্সিজেন অত্যন্ত জরুরি। একারণে সিস্টেমে যথেষ্ট অক্সিজেন সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। ট্রেতে সব সময় কমপক্ষে ৬-৮ সেন্টিমিটার পানি থাকতে হবে।
এখন ৮-১০ ঘণ্টা সঞ্চালনের পাশাপাশি ৬-৮ সেন্টিমিটার পানি ধরে রাখবেন কীভাবে? এর জন্যই দরকার একটি পাম্প। ট্যাংকটি যদি নিচে থাকে, অর্থাৎ ট্রে যে উচ্চতায় আছে তার নিচে তাহলে পাম্পটি থাকবে ট্যাংকে। পাম্পটি ট্যাংকে ভাসিয়ে দিতে পারেন অথবা পাম্পের ইনলেট পাইপ ট্যাংকে রাখতে পারেন। আর আউটলেট পাইপ যাবে ট্রের এক মাথায়। ট্রেটির যে মাথায় ট্যাংকটি রাখবেন পাম্পের আউটলেট পাইপটি যাবে তার বিপরীত মাথায়। ট্যাংকের কাছে ট্রের মাথায় থাকবে একটি ওভার ফ্লো পাইপ। সেই পাইপ দিয়ে অতিরিক্ত পানি ট্যাংকে পড়বে। এভাবে চক্রাকারে নিউট্রিয়েন্ট সলিউশন সঞ্চালিত হবে।
এটি আরেকভাবে করতে পারেন। দুটি ট্যাংক ব্যবহার করা যেতে পারে। বড় ট্যাংকটি হবে রিজার্ভার, যেখানে নিউট্রিয়েন্ট সলিউশন রিজার্ভ থাকবে। এটি থাকবে উঁচুতে। আর একটি ছোট ট্যাংক থাকবে ওভার ফ্লো কনটেইনার হিসেবে। অর্থাৎ সলিউশন সঞ্চালনের সময় ট্রের সঙ্গে যুক্ত ওভার ফ্লো পাইপের মাধ্যমে অতিরিক্ত পানি ছোট ট্যাংকে গিয়ে জমা হবে। ট্রেতে নিউট্রিয়েন্ট সলিউশন সঞ্চালনের সময় ট্যাংকের ভালভটি এমন পরিমাপে ছাড়তে হবে যেন পাম্প দিয়ে সমপরিমান পানি ট্রে থেকে ট্যাংকে যায়। এতে সঞ্চালনের সময় ট্রের পানির উচ্চতা বাড়বেও না কমবেও না, স্থির থাকবে। এছাড়া এতে পানিতে অক্সিজেন দ্রবীভূত হওয়ার পরিমানও বাড়বে।
মনে রাখবেন সঞ্চালন পদ্ধতিতে কর্কশিট আর পানির মাঝখানে কোনো ফাঁকা রাখার দরকার পড়ে না।
সাধারণত ১২-১৫ দিন পরপর ট্রেতে নতুন করে নিউট্রিয়েন্ট সলিউশন যোগ করতে হয়। তবে সম্ভব হলে দৈনিক ইসি ও পিএইচ যাচাই করতে হবে। ভারসাম্য না থাকলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে।
ট্রের বদলে যদি কেউ পিভিসি পাইপ ব্যবহার করতে চান সেক্ষেত্রে সঞ্চলন বেশি সময় ধরে করতে হবে। ২৪ ঘণ্টা রাখতে পারলে ভালো। তবে চাইলে কয়েক ঘণ্টা রেস্ট দিতে পারেন। এছাড়া বাকি পদ্ধতি একই রকম। শুধু এক্ষেত্রে পাইপ ফুটো করে চারা লাগাতে হবে। কর্কশিটের দরকার নেই। আর নিউট্রিয়েন্ট সঞ্চালন যাতে বাধাহীন হয় সে জন্য ইনলেট থেকে আউটলেটের দিকে পাইপ সামান্য নিচের দিকে কাত করে রাখা উচিত। এটিকে এনএফটি সিস্টেমও (NFT Sysytem) বলে।
পাইপের ক্ষেত্রে ভার্টিক্যাল গার্ডেন করতে চাইলে অর্থাৎ এক ফ্রেমে উপর নিচে কয়েক সারিতে পাইপ বসাতে চাইলে প্রত্যেকটি পাইপের সঙ্গে আলাদা করে ইনলেট পাইপ যুক্ত করতে হবে।
সঞ্চালনবিহীন পদ্ধতি (Non-circulating)
এটি একেবারেই সাশ্রয়ী একটি পদ্ধতি। এখানে যেহেতু পানি সঞ্চালনের দরকার নেই সেকারণে পাম্পও লাগছে না। ফলে বিদ্যুৎ খরচ হবে না। তাছাড়া লোহার ট্রের পাশাপাশি প্লাস্টিকের বালতি, অব্যবহৃত বোতল ইত্যাদিতে ফল, ফুল, সবজি চাষ করা যায়।
চারা রোপণের পদ্ধতি সঞ্চালন পদ্ধতির মতোই। শুধু এক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে, কর্কশিট এবং পানির মধ্যবর্তী ৫-৮ সেন্টিমিটার যেন ফাঁকা থাকে। এটি করতে হয় কারণ তা না হলে গাছ অক্সিজেন পাবে না। এই ফাঁকা জায়গাতে থাকবে আর্দ্র বাতাস, সেই বাতাস থেকে অক্সিজেন গ্রহণ করবে গাছের বায়ু মূল বা এয়ার রুট। এ সিস্টেমে একটি এয়ার পাম্পও রাখা যেতে পারে। ট্রের তলায় একটি বা একধিক এয়ারস্টোন বসিয়ে দিলে অক্সিজেনের আর অভাব হবে না।
তবে বালতি বা বোতলে চারা রোপণ করলে বায়ু চলাচলের জন্য কর্কশিটে ৩-৪টি ফুটো রাখতে হবে।
এটি হলো নন-সার্কুলেটিং বা সঞ্চালনবিহীন হাইড্রোপনিক সিস্টেম |
সঞ্চালনবিহীন পদ্ধতির সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো, এতে অতোকিছুর আয়োজন করতে হয় না। বালতি বা বোতল আর কর্কশিট হলেই চলে। বোতলে করলে কর্কশিটও লাগবে না। এটির রক্ষণাবেক্ষণও সহজ। ফলে শহরে যারা নগর কৃষির কথা ভাবছেন তাদের জন্য খুবই উপযুক্ত একটি পদ্ধতি। ছাদে, বারান্দায়, ঘরে ফাঁকা জায়গাতেও এ পদ্ধতিতে শাক-সবজি, ফুল চাষ করা যায়।
আরো পড়ুন:
2 Comments
আসসালামু আলাইকুম। আমি একটা হাড্রোপনিক সন্চালন সিস্টেম তৈরী করতে চাই। বাংলাদেশে কারা এই কাজটি ভালোভাবে করে। ঠিকানা জানালে উপকৃত হব।
ReplyDeleteআমিও আপনার মত হন্যে হয়ে খুঁজছি কোথায় গেলে প্রশিক্ষণ,বই, সহযোগিতা পাওয়া যাবে
Delete