হাঁস-মুরগি পালন এখন বেকার যুবক, ভূমিহীন কৃষক এবং দুস্থ গ্রামীণ নারীদের আত্ম-কর্মসংস্থানের একটি অন্যতম সহজ উপায়। ছোট পরিসরের একটি হাঁস বা মুরগির খামার যেমন পরিবারের আমিষের চাহিদা পূরণ করে তেমনি আয়েরও একটি দারুণ উৎস হিসেবে কাজ করতে পারে। আদিকাল থেকেই গ্রাম বাংলার নারীরা বাড়তি আয়ের উৎস হিসেবে হাঁস-মুরগি পালন করে আসছেন।
এছাড়া হাঁস-মুরগির বিষ্ঠা উন্নতমানের জৈব সার। মুরগির কাঁচা বিষ্ঠা মাটির অনেক রোগের উপশমকারী হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বিশেষ করে ছত্রাক ও ব্যাকটেরিয়াজনিত মাটি দূষণ দূর করে মুরগির কাঁচা বিষ্ঠা। পোল্ট্রির বর্জ্য এবং লিটার ব্যবহার করে বায়োগ্যাস উৎপাদন করাও সম্ভব।
হাঁস-মুরগির পালন করে আয় বাড়াতে চাইলে বৈজ্ঞানিক উপায়ে পালন পদ্ধতি সম্পর্কে ধারণা থাকাটা জরুরি। এর জন্য সরকারের প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পাশাপাশি বিভিন্ন এনজিও ও সংস্থা স্বল্পকালীন প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে।
তবে এসব প্রশিক্ষণের আগে হাঁস-মুরগি পালন সম্পর্কে প্রাথমিক ও তাত্ত্বিক ধারণা থাকলে মাঠ প্রশিক্ষণে গিয়ে বুঝতে সুবিধা হয়। এর জন্য বাজারে আজকাল বহু লেখকের বই পাওয়া যাচ্ছে। একটু সময় ও অর্থ ব্যয় করে এসব বই কিনে পড়তে পারেন।
তবে যাদের সময় ও অর্থের সঙ্কট তাদের জন্য এখানে একটি বইয়ের লিংক দেওয়া হলো। এটি প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের প্রাণিসম্পদ ম্যানুয়াল। এখানে হাঁস-মুরগি পালনের বিস্তারিত বর্ণনা করা হয়েছে। বিপুল তথ্যসমৃদ্ধ বইটি আপনি চাইলে ডাউনলোড করে সংগ্রহে রাখতে পারেন।
0 Comments