দেশে হাওড় এবং চর অঞ্চলে বাথান পদ্ধতিতে মহিষ পালন করা হয়। আকারে বড় এবং বেশি খাদ্য লাগে এবং সেই সঙ্গে দুধ ও মাংস উৎপাদনের জন্য উন্নত জাত উদ্ভাবন সন্তোষজনক নয় বলে দেশে সেভাবে খামারে মহিষ পালনের প্রচলন শুরু হয়নি।
তবে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের দ্বীপ জেলা ভোলার চরাঞ্চলে মহিষ পালনের উজ্জ্বল সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। বিচ্ছিন্ন চরাঞ্চলে পৌঁছে গেছে চিকিৎসা সেবা। এতে বাড়ছে দুধের উৎপাদন। আধুনিক পদ্ধতি ও উন্নত ষাঁড় মহিষ পেয়ে বাথানে আসছে নতুন জাত।
আধুনিক পদ্ধতিতে মহিষ লালন-পালনসহ স্বাস্থ্যকর উপায়ে মহিষ পালনে সহযোগিতা দিচ্ছে সরকারের পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ)।
ভোলা জেলার সাত উপজেলায় ছোট-বড় ৭০টি চর রয়েছে। এর মধ্যে গরু ও মহিষ চরার উপযোগী চর ৪৫টি। সেখানে রয়েছে ৮৮ হাজার মহিষ।
আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিলের (ইফাদ) অর্থায়নে পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের পেজ প্রকল্পের সহযোগিতায় উন্নত পদ্ধতিতে মহিষ লালন-পালন ও জাত উন্নয়নে গ্রামীণ জন উন্নয়ন সংস্থা চরে উন্নত জাতের ষাঁড় মহিষ ও নিয়মিত চিকিৎসাসেবা দিয়ে আসছে। যার কারণে মহিষের আন্তঃপ্রজনন রোধ হচ্ছে ও মৃত্যুর হার অনেক কমে গেছে।
তবে কিছু চ্যালেঞ্জ এখনো রয়ে গেছে। ঘাস-খাদ্য, পানি ও আবাসস্থলের সংকট দূর, উন্নত চিকিৎসা প্রদান, পর্যাপ্ত চিকিৎসক, ঘরে ঘরে খামার তৈরি, জিন পরিবর্তন করার মাধ্যমে মহিষের মাংস নরমসহ অসহায় খামারিদের ঋণসুবিধা দিলে বাংলাদেশে উন্নত পদ্ধতিতে মহিষ পালন জনপ্রিয় হয়ে উঠবে, তাতে সন্দেহ নেই।
মহিষ পালন সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা পেতে নিচের বইটি পড়তে পারেন।
0 Comments