বর্তমান বাস্তবতায় ও গরুর খাদ্যের বাজারে উর্ধ্বমুখি প্রবণতার কারণে সারাদেশে খামারিদের পাশাপাশি কৃষকরাও প্রচুর ভুট্টা চাষ করছেন। উন্নত জাত আসার কারণে এখন শীত ও গ্রীষ্ম উভয় ঋতুতেই ভুট্টা চাষ করা যায়।
তবে বেশিরভাগ সময় ভুট্টা তুলে নেয়ার পরে আধা কাঁচা গাছগুলো ফেলে দিয়ে নষ্ট করা হয় অথবা জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হয়। কিন্তু এই ভুট্টাগাছই কিন্তু গরুর উৎকৃষ্টমানের খাদ্য হতে পারে। অন্তত ঘড়ের সঙ্কটকালে এটি খবু কাজে আসতে পারে।
রোদে শুকানো ভুট্টা গাছ কিন্তু ধানের খড়ের চেয়ে ভালো মানের বিকল্প। শুকনো ভুট্টা গাছে রয়েছে ৯১% ড্রাই ম্যাটার, ৪-৬% ক্রুড প্রোটিন, ১২% স্টার্চ এবং ১% ক্রুড ফ্যাট। নিচের ভুট্টাগাছের পুষ্টি উপাদানের একটি তুলনামূলক সারণি দেওয়া হলো:
গড় পুষ্টি উপাদান : (%/ড্রাই ম্যাটার)
ড্রাই ম্যাটার : ৯১%
স্টার্চ : ১১%
ক্রুড ফ্যাট : ১%
ক্রুড প্রোটিন : ৪-৬ %
ক্রুড ফাইবার : ৪১%
লিগনিন : ৭.৫%
এ ডি এফ : ৪৯%
এন ডি এফ : ৭৫ %
গ্রস এনার্জি : ১৮.২ মেজুল/কেজি
ডাইজেস্ট এনার্জি : ৮.৫ "
মেটাবলিক এনার্জি : ৭ "
মিনারেলস : (/কেজি ড্রাই ম্যাটার)
ক্যালসিয়াম : ৩.২ গ্রা/কেজি
ফসফরাস : ০.৮ "
পটাসিয়াম : ১৪ "
ম্যাগনেসিয়াম : ২.৩ "
সোডিয়াম : ০.২৪ "
সালফার : ০.৯ "
জিংক : ১৭ মিগ্রা/কেজি
আয়রন : ৯৭৫ "
কপার : ৪ "
সংরক্ষণ, মাত্রা ও সতর্কতা
দীর্ঘ সময় সংরক্ষণ করতে হলে ধানের খড়ের মতো ভালো করে শুকিয়ে শক্ত করে আঁটি বেঁধে রাখতে হবে। খাওয়ানোর পরিমান খড়ের মতোই। সংরক্ষণ করা ভুট্টা গাছ দীর্ঘ সময় পরে খাওয়ালে খাওয়ানোর আগে ৫/৬ ঘণ্টা কড়া রোদে শুকিয়ে নিতে হবে। কারণ পুরাতন হলে ফাংগাস (ছত্রাক) জন্মাতে পারে। সংরক্ষণের সময়ে আঁটি শক্ত করে বাঁধলে ফাংগাস হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কম থাকে।
আবার চাইলে খড়ের মতো করে কুচি করে কেটে ইউএমএস বানিয়েও খাওয়ানো যেতে পারে।
0 Comments