ফলে বলতে গেলে, এই মূল্যবান জিনিসটির পুরেটাই অপচয় হয়। অথচ এই কলাগাছ হতে পারে ভালোমানের গোখাদ্য। প্রথম প্রথম গরু কলাগাছ সেভাবে খেতে চায় না। তবে পদ্ধতি জানলে এক বেলা পেট ভরে কলাগাছ খাওয়ানো সম্ভব। এতে কিন্তু পুষ্টির চাহিদাও পূরণ হবে নিঃসন্দেহে।
কলাগাছে পুষ্টি উপাদান
শুকনো পদার্থের (ডিএম) হিসাবে কলা পাতা বা গাছে থাকে প্রায় ১৫% প্রোটিন। কুচি কুচি করে কাটলে এর উচ্চ পরিপাকযোগ্যতা ৬৫%- এ দাঁড়ায়। গরু খেতেও পছন্দ করে। দেখা গেছে, ১০০ কেজি লাইভ ওয়েটে ২.১৫ কেজি (ড্রাই ম্যাটার) পর্যন্ত খায়। ঝোলাগুড়-ইউরিয়ার সঙ্গে মিনারেলস পরিপূরক হিসেবে খাওয়ানো হলে, লাইভ ওয়েট গেইন দিনে ৫০০ থেকে ৭৫০ গ্রাম পর্যন্ত হওয়ার রেকর্ড আছে।
এক্ষেত্রে অবশ্য আখ কুচি করে মিশিয়ে দিলে ডায়েটে প্রোটিনের আরেকটি দরকারি সাপ্লিমেন্ট হতে পারে। আবার মিষ্টি আলুও ভালো। এটি উচ্চ হজমযোগ্য ঘাসের চেয়েও ভালো।
দেখা গেছে, আখ কুচি করে কেটে সেটির সঙ্গে কলা পাতা বা কলা গাছ মিশিয়ে খাওয়ালে এটি কাসাভার সমান পুষ্টি সরবরাহ করতে পারে। আফ্রিকার দেশগুলোতে গরুর পুষ্টিকর ফিড হিসেবে কিন্তু কাসাভা বাণিজ্যিকভাবেই বিক্রি হয়। খামারিরা এটি বাজারের ফিডের মতোই কিনে খাওয়ান। অবশ্য আমাদের দেশে কাসাভার চাষ সেভাবে হয় না। সিলেটে প্রাণ কোম্পানি সম্ভবত কাসাভা চাষের একটি প্রজেক্ট করেছে।
খাওয়ানোর নিয়ম
কলাগাছ অবশ্যই টাটকা খাওয়াতে হবে। তবে সমস্যা হলো এটি সাধারণ ঘাস বা খড় কাটার মেশিন দিয়ে কাটলে হয় না। এতে কুচিগুলো বড় বড় থেকে যায়। এর বিশেষ ব্লেডের চপার মেশিন লাগে। ১০০ কেজি লাইভ ওয়েটের জন্য সোয়া দুই কেজি (ড্রাই ম্যাটার) কলাগাছ দেওয়া যেতে পারে। কলাগাছে কিন্তু বেশিরভাগই পানি। ফলে বেশি খেয়ে ফেলার সুযোগ কম। গরু খেতে না চাইলে সাথে চিটাগুড়/ঝোলাগুড়/লালিগুড় মিশিয়ে খাওয়ানো যেতে পারে।
0 Comments