সাম্প্রতিক

6/recent/ticker-posts

কোয়েল পালনের সহজ উপায়, কম বিনিয়োগে লাভের নিশ্চয়তা

কোয়েল পাখি পালন, quail bird

অন্যান্য পোলট্রি যেমন: হাঁস, মুরগি, তিতির, টার্কি ইত্যাদির তুলনায় কোয়েলের মাংস এবং ডিমের গুণগত মান অনেক ভালো। কোয়েলের ডিমে কোলেস্টেরল কম এবং আমিষের পরিমাণ বেশি। একটি মুরগির খরচে ৮টি কোয়েল পালন করা সম্ভব। বাড়ির আঙিনায় কোণে ১০-২০টা কোয়েল কিন্তু অনায়াসেই পালন করা যায়। একই সঙ্গে এর ডিম ও মাংস খাওয়া যেতে পারে। রোগবালাই কম, খাদ্য খরচ কম, আবার বাজারে ডিম ও মাংসের বেশ চাহিদাও রয়েছে। ফলে একটু পরিকল্পনা করে উদ্যোগ নিলেই কোয়েলের খামার লাভজনক হতে পারে।

কোয়েল পালনের সুবিধা

- কোয়েল দ্রুত বাড়ে, ৬-৭ সপ্তাহে ডিমপাড়া শুরু করে এবং বছরে ২৫০-২৬০ টি ডিম পাড়ে;

-ডিমে কোলেস্টেরল কম এবং প্রোটিনের ভাগ বেশি;

-কোয়েলের দৈহিক ওজনের তুলনায় ডিমের শতকরা ওজন বেশি;

-৮-১০টা কোয়েল একটি মুরগির জায়গায় পালন করা যায় এবং ১৭-১৮ দিনে ডিম ফুটে বাচ্চা বের হয়;

-রোগবালাই খুব কম এবং খাবার খুবই কম লাগে;

-বাংলাদেশের আবহাওয়া কোয়েল পালনের উপযোগী

-অল্প পুঁজি বিনিয়োগ করে অল্প দিনে বেশি লাভ করা যায়।

কোয়েলের জাত

পৃথিবীতে বর্তমানে ১৭-১৮ জাতের কোয়েল আছে। অন্যান্য পোলট্রির মতো কোয়েলের মাংস এবং ডিম উৎপাদনের জন্য আলাদা আলাদা জাত আছে। পৃথিবীতে কোয়েলের বিভিন্ন জাতের মধ্যে ‘জাপানিজ কোয়েল’ অন্যতম। অবশ্য বিভিন্ন জাতের কোয়েলের মূল উৎস জাপানিজ কোয়েল।

প্রজনন

শুধু ডিম ফুটাতে চাইলে স্ত্রী এবং পুরুষ কোয়েল একত্রে রাখার প্রয়োজন। স্ত্রী কোয়েল প্রতিপালন বেশি লাভজনক। আশানুরূপ ডিমের উর্বরতা পেতে হলে ৩টি স্ত্রী কোয়েলের সাথে ১টি পুরুষ কোয়েল দেওয়ার ৪ (চার) দিন পর থেকে বাচ্চা ফুটানোর জন্য ডিম সংগ্রহ করা উচিৎ। স্ত্রী কোয়েল থেকে পুরুষ কোয়েল আলাদা করার পর তৃতীয় দিন পর্যন্ত ফুটানোর ডিম সংগ্রহ করা যায়। 

বাংলাদেশের আবহাওয়ায় কোয়েল ৬-৭ সপ্তাহ বয়সে ডিম পাড়া শুরু করে এবং ৮-১২ মাস পর্যন্ত ডিম পাড়া অপরিবর্তিত থাকে। 

উপযুক্ত পরিবেশে প্রথম বছর গড়ে ২৫০-৩০০টি ডিম পাড়ে। দ্বিতীয় বছরের ডিমের উৎপাদন প্রথম বছরের উৎপাদনের শতকরা ৪৮ ভাগ। 

কোয়েল ডিমের উর্বরতা শতকরা ৮২-৮৭ ভাগ। ডিমপাড়া শুরুর প্রথম দুই সপ্তাহের ডিম ফুটাতে বসানো উচিৎ নয়। 

কোয়েলের ডিমের গড় ওজন ১০-১২ গ্রাম।

মনে রাখতে হবে, কোয়েল ডিমে তা দিতে চায় না । কোয়েল পাখির বাচ্চা সাধারণত ইনকিউবেটরে ফোটানো হয় । এই কাজ সম্পাদন করতে প্রায় ১৬–১৮ দিন সময় লাগে । 

কোয়েলের বাচ্চার ব্রুডিং এবং যত্ন

সদ্য ফুটন্ত কোয়েলের বাচ্চা খুবই ছোট থাকে, ওজন মাত্র ৫-৭ গ্রাম। এ সময় যে কোনো রকম ত্রুটিপূর্ণ ব্যবস্থাপনার প্রভাব স্বাভাবিক দৈহিক বৃদ্ধি, ডিম উৎপাদন এবং বেঁচে থাকার ওপর পড়ে। এঅবস্থায় খাদ্যে প্রয়োজনীয় পুষ্টিমান এবং কাম্য তাপমাত্রা অত্যন্ত সতর্কতার সাথে বজায় রাখতে হবে। বাচ্চাকে ব্রুডিং বা তাপ দেয়া খাঁচায় এবং লিটারে করা যায়। ব্রুডারের জন্য তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ খুব জরুরি।

বাচ্চার বয়স তাপমাত্রা 

প্রথম সপ্তাহ ৩৫.০ সেন্টিগ্রেড (৯৫ ডিগ্রি  ফারেনহাইট) 

দ্বিতীয় সপ্তাহ ৩২.২০ সেন্টিগ্রেড (৯০ ডিগ্রি  ফারেনহাইট) 

তৃতীয় সপ্তাহ ২৯.৫০ সেন্টিগ্রেড (৮৫ ডিগ্রি  ফারেনহাইট)

চতুর্থ সপ্তাহ ২৭.৬০ সে. (৮০ ডিগ্রি ফারেনহাইট)। 

ইনকিউবেটরে বাচ্চা ফুটার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ব্রুডিং ঘরে এনে প্রথমে গ্লুকোজ এবং এমবাভিট ডলিউ এস পানির সাথে মিশিয়ে পরপর তিনদিন খেতে দেওয়া ভালো এবং পরে খাদ্য দিতে হবে।

প্রথম সপ্তাহ খবরের কাগজ বিছিয়ে তার ওপর খাবার ছিটিয়ে দিতে হবে এবং প্রতিদিন খবরের কাগজ পরিবর্তন করতে হবে। এক সপ্তাহ পর ছোট খাবার পাত্র বা ফ্লাট ট্রে ব্যবহার করতে হবে। পানির পাত্রে বাচ্চা যাতে পড়ে না যায় সে জন্য মার্বেল অথবা কয়েক টুকরা পাথর খ- পানির পাত্রে রাখতে হবে। সর্বদাই পরিষ্কার পরিচছন্ন পানি সরবরাহ করতে হবে।

বাসস্থান

বাণিজ্যিকভাবে কোয়েল পালনের জন্য লিটার পদ্ধতির চেয়ে কেইজে (খাঁচা) পালন অধিক লাভজনক। বাচ্চা অবস্থায় প্রতিটি কোয়েলের জন্য খাঁচায় ৭৫ বর্গ সেন্টিমিটার এবং মেঝেতে ১০০ বর্গ সেন্টিমিটার জায়গায় দরকার। 

অন্যদিকে বয়স্ক কোয়েলের বেলায় খাঁচায় প্রতিটির জন্য ১৫০ বর্গ সেন্টিমিটার এবং মেঝেতে ২৫০ বর্গ সেন্টিমিটার জায়গা প্রয়োজন। 

কোয়েলের ঘরে পর্যাপ্ত আলো-বাতাসের ব্যবস্থা রাখতে হবে। তাপমাত্রা ৫০-৭০ ডিগ্রি  ফারেনহাইট হওয়া ভালো। 

স্ত্রী কোয়েল এবং পুরুষ কোয়েল যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আলাদা করে রাখতে হবে।

 খাঁচায় কোয়েল পালন

খাঁচায় ৫০টি বয়স্ক কোয়েলের জন্য ১২০ সেমি. দৈর্ঘ্য, ৬০ সেমি. প্রস্থ এবং ৩০ সেমি. উচ্চতা বিশিষ্ট একটি খাঁচার প্রয়োজন। খাঁচার মেঝের জালিটি হবে ১৬-১৮ গেজি। ৩ সপ্তাহ পর্যন্ত বাচ্চার খাঁচার মেঝের জালের ফাঁক হবে ৩x৩ মিলিমিটার এবং বয়স্ক কোয়েলের খাঁচায় মেঝের জালের ফাঁক হবে ৫x৫ মিলিমিটার। 

খাঁচার দুই পাশে একদিকে খাবার পাত্র অন্যদিকে পানির পাত্র সংযুক্ত করে দিতে হবে। 

খাঁচায় ৫০টি কোয়েলের জন্য তিন সপ্তাহ বয়স পর্যন্ত ২৫ সেন্টিমিটার বা ১০ ইঞ্চি উচ্চতা বিশিষ্ট ২৮ বর্গ সেন্টিমিটার বা ৩ বর্গফুট জায়গার প্রয়োজন।

 খাদ্য ব্যবস্থাপনা

বাচ্চা, বাড়ন্ত অথবা প্রজনন কাজে ব্যবহৃত কোয়েলের জন্য স্ট্যান্ডার্ড রেশন বাজারে সাধারণত পাওয়া যায় না। কোয়েলের রেশনকে তিনভাগে ভাগ করা যায়। স্টার্টার, বাড়ন্ত, এবং লেয়ার বা ব্রিডার। ডিম পাড়া কোয়েলের প্রতি কেজি খাবারে ২.৫-৩.০% ক্যালসিয়াম থাকতে হবে। ডিমের উৎপাদন ধরে রাখার জন্য গরমের সময় ৩.৫% ক্যালসিয়াম প্রয়োজন। এরা সাধারণত মুরগির খাবারই খায়।

খাবার পাত্র

বাচ্চা অবস্থায় ফ্লাট ট্রে বা ছোট খাবার পাত্র দিতে হবে যেন খাবার খেতে কোনো রকম অসুবিধা না হয়। স্বাভাবিকভাবে প্রতি ২৮টি বাচ্চার জন্য একটি খাবার পাত্র (যার দৈর্ঘ্য ৫০ সেন্টিমিটার, প্রস্থ’ ৮ সেন্টিমিটার এবং উচ্চতা ৩ সেন্টিমিটার) এবং প্রতি ৩৪ টি বয়স্ক কোয়েলের জন্য একটি খাবার পাত্র (যার দৈর্ঘ্য ৫৭ সেন্টিমিটার, প্রস্থ ১০ সেন্টিমিটার এবং উচ্চতা ৪ সেন্টিমিটার) ব্যবহার করা যেতে পারে। সকালে এবং বিকালে খাবার পাত্র ভালো করে পরিষ্কার সাপেক্ষে মাথাপিছু দৈনিক ২০-২৫ গ্রাম খাবার দিতে হবে। উল্লেখ্য যে, প্রথম সপ্তাহ থেকে ৫ গ্রাম দিয়ে শুরু করে প্রতি সপ্তাহে ৫ গ্রাম করে বাড়িয়ে ২০-২৫ গ্রাম পর্যন্ত উঠিয়ে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। প্রতিটি বয়স্ক কোয়েলের জন্য ১.২৫-২.৫ সেন্টিমিটার (১/২ থেকে ১ ইঞ্চি) খাবার পাত্রের জায়গা দিতে হবে।

পানির পাত্র

সব সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন পানি সরবরাহ করতে হবে। প্রতিটি বয়স্ক কোয়েলের জন্য ০.৬ সেন্টিমিটার (১/৪ ইঞ্চি) পানির পাত্রের জায়গা দিতে হবে। অটোমেটিক বা স্বাভাবিক যে কোনো রকম পানির পাত্র ব্যবহার করা যেতে পারে। প্রতি ৫০টা কোয়েলের জন্য একটি পানির পাত্র দেয়া উচিত। নিপল ড্রিংকার বা কাপ ড্রিংকার ও ব্যবহার করা যায়। এ ক্ষেত্রে প্রতি ৫টি বয়স্ক কোয়েলের জন্য ১টি নিপল বা কাপ ড্রিংকারও ব্যবহার করা যেতে পারে।

লিটার ব্যবস্থাপনা

তুষ, বালি, ছাই, কাঠের গুড়া প্রভৃতি দ্রব্যাদি কোয়েলের লিটার হিসাবে মেঝেতে ব্যবহার করা যায়। অবস্থাভেদে লিটার পরিবর্তন আবশ্যক যেন কোনো রকম অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের সৃষ্টি না হয়। মেঝেতে ডিপ লিটার পদ্ধতি অবলম্বন করা ভালো। প্রথমেই ৫-৬ ইঞ্চি পুরু তুষ বিছিয়ে দিতে হবে এবং লক্ষ্য রাখতে হবে যেন লিটার ভিজা না হয়।

স্বাভাবিকভাবে শীতকালে লিটার পরিবর্তন এবং স্থাপন করতে হবে। অন্য ঋতুতে লিটার পরিবর্তন এবং স্থাপন করলে লিটারের শতকরা ১-২ ভাগ কলি চুন মিশিয়ে দিতে হবে যেন লিটার শুষ্ক এবং জীবাণুমুক্ত হয়।

আলো ব্যবস্থাপনা

কোয়েলের কাঙ্ক্ষিত ডিম উৎপাদন এবং ডিমের উর্বরতা বাড়ানোর জন্য দৈনিক ১৪-১৮ ঘণ্টা আলোর প্রয়োজন। শরৎকালে এবং শীতকালে দিনের আলোক দৈর্ঘ্য কম থাকে তাই কৃত্রিম আলোর ব্যবস্থা করা হয়। পুরুষ কোয়েল যেগুলো প্রজনন কাজে ব্যবহার করা হয় না এবং যেগুলো শুধু মাংস উৎপাদনের জন্য ব্যবহার করা হয় সেগুলোর জন্য দৈনিক ৮ ঘণ্টা আলোই যথেষ্ট।

রোগবালাই

কোয়েলের রোগবালাই নেই বললেই চলে। সাধারণত কোনো ভ্যাকসিন অথবা কৃমিনাশক ওষুধ দেওয়া হয় না। তবে বাচ্চা ফুটার প্রথম ২ সপ্তাহ বেশ ঝুঁকি থাকে। এ সময় অত্যন্ত সতর্কতার সাথে কোয়েলের বাচ্চার যত্ন নিতে হয়। অব্যবস্থাপনার কারণে কোয়েলের বাচ্চা মারা যায়, তবে বয়স্ক কোয়েলের মৃত্যুহার খুবই কম।

এক নজরে কোয়েল পালন সম্পর্কিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:

১. কোয়েল কী ধরনের পাখি ?

• ছোট্ট আকারের ২৫০ থেকে ৩০০ গ্রাম ওজনের ডিম ও মাংসপ্রদানকারী পাখি।

২. কোয়েল কেন পালন করা হয়?

• অতি অল্প খরচে, অল্প সময়ে, অল্প জায়গায় ও অল্প খাদ্যে মুরগীর তুলনায় অধিক ওজনের ডিম ও মাংস উৎপাদনের জন্য কোয়েল পালন করা হয়।

৩. কোয়েলের মাংস ও ডিম খেলে কোনো ক্ষতি হয় কি?

• না, কোয়েলের ডিম মাংসে কম কলেস্টেরল ও অধিক আমিষ আছে।

৪. একটি মুরগীর জায়গায় কতটি কোয়েল পালন করা যায়?

• প্রায় ৮টি কোয়েল পালন করা যায়।

৫. বসতবাড়ির ঘরে কতটি কোয়েল পালন করা যায়?

• প্রায় ১০-২০টি কোয়েল পালন করা যায়।

৬. কোয়েলের দৈহিক ওজন কত হারে বাড়ে?

• অতি দ্রুত হারে, ৬-৭ সপ্তাহে ডিম ও মাংস প্রদানের উপযোগী হয়।

৭. কোয়েল বছরে কতটি ডিম দেয়?

• কোয়েল বছরে ২৫০-২৬০টি ডিম দেয়।

৮. মুরগীর ওজন তুলনামূলকভাবে কোয়েলের চেয়ে কত বেশি?

• শতকরা হারে কোয়েলের ওজন বেশি।

৯. কতদিনে কোয়েলের ডিম থেকে বাচ্চা ফুটে?

• কোয়েলের ডিম থেকে ১৭-১৮ দিনে বাচ্চা ফুটে।

১০. বাংলাদেশের সব জায়গায় কোয়েল পালন করা যায় কি?

• বাংলাদেশের আবহাওয়া কোয়েল পালনের খুবই উপযোগী।

১১. কোয়েলের রোগ-বালাই কেমন?

• অন্যান্য পোল্ট্রির তুলনায় খুবই কম।

১২. কোয়েল পালতে কি রকম খরচ হয়?

• মুরগীর তুলনায় প্রায় ৬ ভাগের এক ভাগ খরচ হয়।

১৩. কোয়েলের বাণিজ্যিক পালন কখন শুরু হয়?

• বাংলাদেশে ১৯৮৭-৮৮ সালে কোয়েলের বানিজ্যিক পালন শুরু হয় ।

১৪. এশিয়ার আর কোন কোন দেশে কোয়েল পালিত হয়?

• এশিয়ার সব দেশে কোয়েল পালিত হয়।

১৫. পৃথিবীতে কত জাতের কোয়েল আছে?

• পৃথিবীতে ১৭-১৮ জাতের কোয়েল আছে।

১৬. কোন জাতের কোয়েল বিখ্যাত?

• মাংস ও ডিমের জন্য জাপানের কোয়েল বিখ্যাত।

১৭. স্ত্রী এবং পুরুষ কোয়েলের পার্থক্য কী?

• পুরুষের তুলনায় স্ত্রী কোয়েল আকার ও ওজনে বড়। স্ত্রী কোয়েলের ভেন্ট ডিমের আকৃতির।

১৮. কোয়েল বছরের সব সময় পালা যায় কি?

• বছরের সব সময়ই কোয়েল পালা যায়।

১৯. কোন বয়সের কোয়েলের ডিম থেকে বাচ্চা ফুটানো যায়?

• কোয়েলের ৮-১০ সপ্তাহ বয়সের ডিম থেকে বাচ্চা ফুটানো যায়।

২০. একটি পুরুষ কোয়েলের সাথে কয়টি স্ত্রী কোয়েল রাখলে আশানুরূপ উর্বর ডিম পাওয়া যায়?

• ১:২, ৫:২ বা ৩:১ অনুপাতে রাখা উত্তম।

২১. স্ত্রী ও পুরুষ কোয়েল একসাথে রাখার কতদিন পর ডিম উর্বর হয়?

• স্ত্রী ও পুরুষ কোয়েল একসাথে ৪-৫ দিন রাখার পর কোয়েলের ডিম উর্বর হয়।

২২. কোয়েল কত বয়সে সর্বোচ্চ ডিম দেয়?

• ৮-১০ সপ্তাহে ৫০% এবং ১২ সপ্তাহে ৮০% ডিম পাড়ে।

২৩. স্বাভাবিক অবস্থায় ডিমের উর্বরতা কত ভাগ?

• ৮০-৮৫%।

২৪. ডিম-পাড়া শুরুর কতদিন পর বাচ্চা ফুটানো যায়?

• প্রথম ২ সপ্তাহ পরে।

২৫. কত বয়সে ডিমের উর্বরতা কমে যায়?

• ৫০ সপ্তাহের অধিক বয়সে।

২৬. কোয়েলের দৈহিক ওজনের কতভাগ ডিমের ওজন হয়?

• প্রায় ৮%।

২৭. কত বছরে কোয়েলের খামার লাভজনক হয়?

• প্রথম বছরের তুলনায় দ্বিতীয় বছরে অধিক হারে লাভবান হওয়া যায়।

২৮. কোয়েলের ডিমের রং কি?

• কয়েক জাতের কোয়েলের ডিমের রং সাদা, আর বেশিরভাগ জাতের কোয়েলের ডিমের রং বাদামীর সাথে গায়ে ফোঁটা ফোঁটা কালো দাগ থাকে।

২৯. কোয়েলের ডিমের গড় ওজন কত গ্রাম?

• ১০-১২ গ্রাম।

৩০. কী পরিমাণ তাপমাত্রা এবং আর্দ্রতায় ডিম থেকে বাচ্চা ফুটানো যায়?

• ১৫.৫ ডিগ্রি সে. এবং ৮০% আর্দ্রতায়।

৩১. ফুটানো ডিম কতদিন পর্যন্ত সংরক্ষণ করা ভালো?

• ৭-১০ দিন পর্যন্ত।

৩২. ডিম সংরক্ষণের জন্য কী করতে হয়?

• ফরমালডিহাইড গ্যাসে ২০ মিনিট রাখতে হবে।

৩৩. সব ডিম থেকেই কি বাচ্চা ফুটানো যায়?

• পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত ডিম উত্তম।

৩৪. সব ডিম খাওয়ার জন্য সংরক্ষণ করা উচিৎ কি?

• না, উর্বর ডিম পচে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

৩৫. কোয়েলের ডিম আর মুরগির ডিম ফুটানোর পদ্ধতিতে কোন পার্থক্য আছে কি?

• প্রায় একই পদ্ধতি।

৩৬. ডিমের জীবাণু নাশ করার জন্য কী করা দরকার?

• ফিউমিগেশন বা ধোঁয়া দেওয়া করা দরকার।

৩৭. কোয়েলের দ্বারা ডিম ফুটানো যায় কি?

• বাণিজ্যিকভাবে ঘরে পালিত কোয়েল দ্বারা সম্ভব নয়।

৩৮. সব মেশিনে কোয়েলের ডিম ফুটানো যায় কি?

• ডিমের আকার ছোট বিধায় সম্ভব না।

৩৯. কোয়েলের বাচ্চার ওজন কত গ্রাম?

• একদিন বয়সে ৫-৭ গ্রাম।

৪০. বাচ্চা রাখার তাপমাত্রা কত হওয়া উচিৎ?

• প্রথম সপ্তাহে শুরুতে সাধারণত ৩৫ ডিগ্রি সে., আর প্রতি সপ্তাহে ৩.৫ ডিগ্রি সে. হারে কমিয়ে আনতে হবে চার সপ্তাহ বয়স পর্যন্ত ।

৪১. ঘরের তাপমাত্রা ঠিক আছে কি না তা বোঝা যাবে কীভাবে?

• কম তাপমাত্রায় কোয়েল জড়ো হয়ে থাকবে আর বেশি তাপমাত্রায় এলোপাথারিভাবে ছুটাছুটি করবে। আরামদায়ক তাপমাত্রায় সমানভাবে ছড়িয়ে থাকবে। স্বাভাবিকভাবে ঘুরাফেরা করবে ও খাবার পানি খাবে।

৪২. কোয়েলের জন্য সারা বছর একই তাপমাত্রা রক্ষা করতে হবে কি?

• গরমকালে ২ সপ্তাহ আর শীতকালে ৩-৪ সপ্তাহ তাপমাত্রা রক্ষা করতে হবে।

৪৩. বাচ্চা ফুটার পরপরই বাচ্চাকে কী খাওয়াতে হবে?

• ২৪ ঘণ্টা পরে প্রথমে গ্লুকোজ পানি ও পরে খাদ্য দিতে হবে। খাদ্যের সাথে পরে ৩ দিন পর্যন্ত গ্লুকোজ ও ভিটামিন দিতে হবে।

৪৪. বাচ্চা পালনে আর কী কী করতে হবে?

• মুরগীর বাচ্চা পালনের প্রায় অনুরূপ ব্যবস্থা নিতে হবে।

৪৫. বিভিন্ন বয়সের কোয়েলকে কী বলা হয়?

• ৩ সপ্তাহ পর্যন্ত বাচ্চা, ৩-৫ সপ্তাহ পর্যন্ত বাড়ন্ত কোয়েল আর ৫ সপ্তাহের উপরের বয়সে কোয়েল বলা হয়।

৪৬. কোন কোন পদ্ধতিতে কোয়েল পালন করা যায়?

• লিটার ও খাঁচা উভয় পদ্ধতিতেই কোয়েল পালন করা যায়।

৪৭. কোন পদ্ধতিতে প্রতিটি কোয়েলের বাচ্চার জন্য কতটুকু জায়গার দরকার?

• খাঁচায় ৭৫ সে.মি. এবং মেঝেতে ১০০ সে.মি.।

৪৮. বয়স্ক কোয়েলের জন্য কতটুকু জায়গা লাগে?

• খাঁচায় ১৫০ বর্গ সে.মি. ও মেঝেতে ২৪০ বর্গ সে.মি.।

৪৯. ডিম-পাড়া এক জোড়া কোয়েলের খাঁচার মাপ কত?

• ৫''×৮'' বর্গইঞ্চি মাপের খাঁচা লাগে।

৫০. ঘরের তাপমাত্রা কত হওয়া ভালো?

• ৫০-৬০ ডিগ্রি সে.।

৫১. ৫০টি বয়স্ক কোয়েলের জন্য কোন মাপের খাঁচা প্রয়োজন?

• (১২০×৬০×৩০) সে.মি. মাপের।

৫১. খাবার পাত্রের পরিমাপ কী রকম হবে?

• ২৫ টি বাচ্চার জন্য বাজারে-প্রাপ্ত ৫০×৮×৩ সে.মি. মাপের ও ৩৫ টি বয়স্ক কোয়েলের জন্য ৬০×১০×৫ সে.মি. মাপের খাবার পাত্র দরকার।

৫২. বাচ্চাকে প্রথম সপ্তাহে কতটুকু খাবার দিতে হবে?

• প্রথম সপ্তাহে ৫ গ্রাম থেকে শুরু করে ৫ সপ্তাহ বয়স পর্যন্ত প্রতিদিন ২০-২৫ গ্রাম খাবার লাগে।

৫৩. ঘরের বিছানা কী রকম হবে?

• তুষ, বালু, ছাই, কাঠের গুড়া, টুকরা খড় ও ছন ইত্যাদি দ্বারা মেঝেতে পালার ক্ষেত্রে বিছানা দেয়া যাবে।

৫৪. বিছানা কতটুকু পুরু হবে?

• ১৩-১৬ সে.মি.।

৫৫. স্বাস্থ্যসম্মত কী কী ব্যবস্থা নিতে হবে?

• ভিজা স্যাঁতস্যাতে ভাব বর্জন করে বিছানায় ১-২% চুন মিশিয়ে দিতে হবে।

৫৬. সার্বক্ষণিক অন্ধকারে কোয়েল পালা যায় কি?

• না, দিনের একটা অংশ অন্ধকার রাখা দরকার।

৫৭. আলো না থাকলে কী ক্ষতি হয়?

• ডিম উৎপাদন ও উর্বরতা কমে যায়, খাদ্য গ্রহণ কমে যায় ও দৈহিক বৃদ্ধি সঠিক হয় না।

৫৮. দিনে কত ঘণ্টা আলো থাকা দরকার?

• ১৫-১৮ ঘণ্টা আলো থাকা ভালো।

৫৯. সব ধরনের কোয়েলের জন্য কি একই রকম সময়ের জন্য আলো থাকা দরকার?

• শীত ও শরৎকালে অপেক্ষাকৃত বেশি সময় আলো দেয়া দরকার কারণ দিন ছোট থাকে। পুরুষ কোয়েলকে ৮ ঘণ্টা আলো দিলেই চলে।

৬০. মুরগীর খাবার তৈরি করে কোয়েলকে খাওয়ানো উচিৎ হবে কি?

• না, দৈহিক বৃদ্ধি ও ডিম উৎপাদন কম হবে।

৬১. খাদ্যে কী পরিমাণ পুষ্টিমাত্রা হওয়া উচিৎ?

• ২৩-২৫% আমিষ এবং ২৫৫০-২৮০০ কিলো-ক্যালোরি/কেজি খাদ্য।

৬২. কোয়েলের বিভিন্ন বয়সের খাবারকে কি কি নামে বলা হয়?

• প্রথম ৩ সপ্তাহ সূচনা/স্টারটার, ৪-৫ সপ্তাহ বাড়ন্ত, ৬ সপ্তাহ বা তদুর্ধ্ব লেয়ার বা ব্রিডার খাদ্য বলা হয়।

৬৩. কোয়েলের খাদ্য তৈরিতে কোন সমস্যা হয় কি?

• আমিষের মাত্রা মেটানো খুবই সমস্যা।

৬৪. সুষম খাদ্য তৈরিতে সমস্যা হয় কেন?

• অধিক আমিষ-সমৃদ্ধ খাদ্য সামগ্রীর সংখ্যা খুবই কম।

৬৫. আমিষ সরবরাহ-সংশ্লিষ্ট সমস্যার সমাধান কিভাবে করা যায়?

• খাদ্য খরচ কিছ্টুা বেড়ে গেলেও অধিক আমিষ-সমৃদ্ধ শুটকি মাছের গুঁড়া, বাণিজ্যিক প্রোটিন কনসেনট্রেট ফিডার মিল ইত্যাদি পরিমিত মাত্রায় মেশানো যেতে পারে।

৬৬. কোয়েলের খাদ্যে কী পরিমাণ দানাদার সামগ্রী থাকা দরকার?

• ৪০-৪৫%।

৬৭. কী কী দানাদার সামগ্রী খাওয়ানো হয়?

• সাধারণত মুরগীর খাদ্যের অনুরূপ একই সামগ্রী খাওয়ানো যাবে।

৬৮. কোয়েলের খাদ্য সারা বছর একই রকম হওয়া উচিৎ কি?

• গরমের দিনে ক্যালসিয়ামের মাত্রা (৩.৫%) বাড়াতে হবে।

৬৯. কোয়েলের ডিম ও মাংসের মধ্যে পার্থক্য কী কী?

• ডিমে কলেস্টেরল বেশি আর মাংসে অপেক্ষাকৃত আমিষ বেশি থাকে।

৭০. কোয়েল পালনে খাদ্যের খরচের পরিমাণ কত?

• অন্যান্য খামারের ন্যায় খাদ্যের খরচ ৬০-৬৫% হয়ে থাকে।

৭১. খাদ্য খরচ কমানোর উপায় কী হতে পারে?

• অপ্রচলিত খাদ্য সামগ্রীর ব্যবহার বাড়াতে হবে।

৭২. বাজারে কোয়েলের জন্য কোনো তৈরি খাবার পাওয়া যায় কি?

• না, পাওয়া যায় না।

৭৩. বাজারে প্রাপ্ত তৈরি খাবার কোয়েলকে খাওয়ানো যাবে কি?

• তৈরি খাবারের সাথে আমিষ ও খনিজসমৃদ্ধ সামগ্রী বাড়াতে হবে।

৭৪. কোয়েল ও মুরগীর প্রতি কেজি খাবারের মূল্য কি একই হবে?

• না, কারণ কোয়েলের খাদ্যে তুলনামূলক বেশি আমিষ রাখতে হয়।

৭৫. পুষ্টির মধ্যে কোনটির দাম বেশি?

• আমিষ এবং ভিটামিনসমৃদ্ধ সামগ্রীর বাজার মূল্য সব সময় বেশি থাকে।

৭৬. কোয়েলের খাদ্যে দানাদার অংশ বেশি হলে ক্ষতি হবে কি?

• কোয়েল শুধু দানাগুলো খাবে বেশি বেশি, অপরাপর সামগ্রী কম খাবে এবং অপুষ্টিতে ভুগবে।

৭৭. কোয়েল প্রতিদিন কী পরিমাণ পানি পান করে?

• সাধারণত যে পরিমাণ খাদ্য খায় তার ২-৩ গুণ পানি খায়।

৭৮. দৈহিক ওজনের তুলনায় কোয়েল পানি বেশি খায় কেন?

• খাদ্যে আমিষের পরিমাণ বেশি থাকে বিধায় কোয়েল বেশি পানি পান করে।

৭৮. প্রতি কোয়েলের জন্য পানি পাত্রে কতটুকু জায়গা লাগবে?

• এক বর্গ সেন্টিমিটার।

৭৮. রোগ নিরাময়ের ক্ষেত্রে কোয়েলের ডিম কী উপকার করে?

• উচ্চ রক্ত চাপ, বাত রোগ, হাঁপানি এবং ডায়েবেটিস রোগ নিরাময়ে সহায়তা করে।

৭৯. প্রতিটি কোয়েল থেকে কী পরিমাণ খাবারযোগ্য মাংস পাওয়া যায়?

• মোট দৈহিক ওজনের প্রায় ৫৮-৬০%।

৮০. ২৫০ গ্রাম ওজনের কোয়েল থেকে কতটুকু খাবারযোগ্য মাংস পাওয়া যেতে পারে?

• প্রায় ১৫০ গ্রাম মাংস পাওয়া যাবে যা কোয়েলের দৈহিক ওজনের ৭২.৫%।

৮১. কোয়েলের ডিম কীভাবে খাওয়া যায়?

• মুরগীর ডিমের মতই খাওয়া যায় তবে খাবার কালে খাবারের সৌন্দর্য্ বৃদ্ধির জন্য সিদ্ধ ডিম (খোসা ছাড়া) সাজিয়ে দেওয়া হয়।

৮১. কোয়েলের মাংস কীভাবে খাওয়া যায়?

• বিরিয়ানী, রেজালা, শিক-কাবাব, দোঁ-পিঁয়াজো, ভূনা, ফ্রাই, তন্দুরী, রোস্ট ও অন্যান্য অত্যাধুনিক রেসিপি হিসেবে খাওয়া যেতে পারে।

৮২. বর্তমানে কোয়েলের ডিমের দাম কত?

• প্রতি হালি ১০ টাকা হিসেবে বিক্রি হয়। তবে বর্তমানে বেশিও হতে পারে, কিন্তু কম নয়।

৮৩. ১০০টি কোয়েল পালন করে এক বছরে কত টাকা লাভ করা যেতে পারে?

• প্রায় ২২০০০-২৫০০০ টাকা।

৮৪. বাণিজ্যিকভাবে ২০০০ কোয়েল পালন করলে প্রতি মাসে গড়ে কত টাকা আয় হতে পারে?

• প্রায় ৩০,৫০০ টাকা।

৮৫. কোয়েলের খাদ্য রূপান্তর দক্ষতা কত?

• ৩:১ অনুপাত।

৮৬. ডিমের চর্বির পরিমাণ কত?

• মুরগীর ডিমের তুলনায় ২.৪৫% কম।

৮৭. কোয়েলের ডিমে কুসুমের পরিমাণ কতটুকু থাকে?

• সাদা অংশ (এলবুমিন):কুসুম= ২:৩।

৮৮. কোয়েল পালনের সবচেয়ে বড় সুবিধা কী কী?

• প্রাথমিক খরচ এবং রোগ-বালাই খুবই কম।

৮৯. মুরগীর ব্রয়লার আছে কিন্তু কোয়েলের ব্রয়লার আছে কি?

• আছে, ৫ সপ্তাহে ১৪০-১৫০ গ্রাম ওজন হয়।

৯০. ব্রয়লার কোয়েলের খাদ্য দক্ষতা কত?

• ২.৯:১ অনুপাতে।

৯১. কোয়েলের ডিমের খোসা কেমন?

• মুরগীর ডিমের তুলনায় বেশ পাতলা।

৯২. কোয়েলের ডিম বিক্রিতে সমস্যা কী?

• ডিম দেখতে অনেকটা কচ্ছপের ডিমের মতো, এ কারণে অনেকেই সন্দেহবশত কিনতে চায় না।

৯৩. কোয়েলের ডিম বিক্রিতে বা বাজারজাতকরণে সুবিধা কী কী?

• রাস্তার ধারে, মোড়ে, শহর ও বন্দরে, পরিচিত মহলে, বড় বড় হোটেলে, অনুষ্ঠানে সৌন্দর্য্য বৃদ্ধির কারণে চুক্তিভিত্তিতে উৎপাদন ও বিক্রয় হয়ে থাকে।

৯৪. কোয়েলের খামারে স্বাস্থ্য রক্ষায় কোনো অসুবিধা হয় কি?

• না, কোয়েলের রোগবালাই নেই বললেই চলে বিধায় সাধারণত কোনো টিকা, কৃমিনাশক ও ঔষধ প্রয়োগ করার প্রয়োজন হয় না।

৯৫. কোয়েল পালনে ঝুঁকিপূর্ণ সময় কখন?

• বাচ্চার বয়স দুই সপ্তাহ পর্যন্ত কোয়েল পালনে ঝুঁকি থাকে।

৯৬. কী কারণে দুই সপ্তাহ বয়সে ঝুঁকি দেখা দিতে পারে?

• ব্যবস্থাগত বা শারীরিক কারণে, অপুষ্টি ও আলো বাতাস সরবরাহ যথাযথ না হলে বাচ্চার মৃত্যুর হার বাড়তে পারে।

৯৭. কোয়েল পালনে বিরক্তিকর বিষয় কোনটি?

• দৈহিক ওজন ও অন্যান্য পোল্ট্রির তুলনায় বিরক্তিকর শব্দে কোয়েল ডাকাডাকি করে।

৯৮. কোয়েল পরিবেশগতভাবে খাপ খাওয়াতে পারে কি?

• বাইরের কোনো শব্দ শুনলে, অপরিচিত ও বহিরাগত কাউকে দেখলে ভয় পায় এবং বাসস্থানের এক কোণায় অবস্থান নেয়।

৯৯. স্ত্রী ও পুরুষ কোয়েল আলাদাভাবে দেখে চেনা যায় কি?

• পায়খানার রাস্তা না দেখে সহজে চেনা যায় না।

১০০. কোয়েলের পূর্বতন আদি জাত পাওয়া যায় কি?

• খুবই দুষ্কর কারণ জাতের বৈশিষ্ট্য বা জাত উন্নয়নের জন্য তেমন কোনো গবেষণা কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়নি।

১০১. কোয়েলের পরিচিতি কোন সময় ঘটে?

• ১৯৮৯ সালের শেষের দিকে মাত্র দু'একটি স্থানে/প্রতিষ্ঠানে পরিচিত হয়।

১০২. কোয়েল উন্নয়ণের গবেষণা কার্যক্রম কোন প্রতিষ্ঠানে কোন সালে আরম্ভ হয়?

• ১৯৮৯ সালে সাভারস্থ বাংলাদেশ প্রাণি গবেষণা ইনস্টিটিউটের পোল্ট্রি গবেষণা বিভাগে শুরু হয়।

Post a Comment

0 Comments